বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, “বোরো মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ ধান সংগ্রহ হয়েছে। তবে সামগ্রিক হিসেব অনুযায়ী ধান উৎপাদনে কিছু ঘাটতি থেকে যায়, যার কারণে আমদানির প্রয়োজন হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব হস্তান্তর করার সময় দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ থাকবে বলে আমরা আশা করছি।”
তিনি আরও জানান, এবার আমন ধান আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে ক্রয় করা হবে। পূর্বে সংগ্রহের ক্ষেত্রে ধান ও চালের মধ্যে আনুপাতিক হারে পার্থক্য ছিল, যা এবার রাখা হচ্ছে না। এতে কৃষকরা আরও উৎসাহিত হচ্ছেন।
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
এদিন থেকেই আমন সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ মৌসুমে মোট ৭ লাখ টন আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল
৫০ হাজার টন ধান
৫০ হাজার টন আতপ চাল
সরকার প্রতি কেজি ধান ৩৯ টাকা, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা দরে সংগ্রহ করবে।