ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের বাজারে ধীরগতিতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন বিভিন্ন শাক সবজি। ফলে কিছুটা কমেছে দাম। অন্যদিকে গত তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। যা কয়েকদিন আগে প্রকারভেদে বিক্রি হয়েছিল ৪৫-৫২ টাকা পর্যন্ত।
সাধারণ ভোক্তরা বলছেন, আলু ব্যবসায়ীরা আলু মজুদ করে দাম বেশি রাখছেন।
সরেজমিনে কুড়িগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার জিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, সিম ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০টাকা ও ডিম প্রতি হালি ৪৬ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এবার ৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার হেক্টর জমিতে তা অর্জিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে কৃষকরা সময়মতো শাক সবজি উৎপাদন করতে না পারার কারণে এখনো বাজারে সরবরাহ বাড়েনি। তবে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে পুরোপুরিভাবে শীতকালীন নতুন সবজি বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। তখন দাম অনেকটা নাগালের মধ্যে চলে আসবে।
জিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, শাক সবজির দাম গত এক সপ্তাহ ধরে একই রয়েছে। তবে আলুর দামটা হঠাৎ বেড়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজও কেজিতে ১-২ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন শাক সবজি পুরোপুরি নামলে দামটা আরও অনেক কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের শাক সবজির যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সেটি অর্জিত হবে। এসব সবজি এখানকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে।