অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনী সরকারের সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৯ আগu ২০২৫ ০৫:৩৭ অপরাহ্ণ   |   ৩৯ বার পঠিত
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সেনাবাহিনী সরকারের সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “দেশ এখন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দীর্ঘ সময় ধরে সেনারা মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন, যা আগে কখনও হয়নি। তাই সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে, কোনো দূরত্ব থাকলে তা ঘোচাতে হবে।”
 

তিনি আরও বলেন, “দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।”
 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তির প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “এসব মন্তব্যে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করে তারা তরুণ, আমাদের সন্তানের বয়সী। সময়ের সাথে তারা বুঝবে এবং ভুল উপলব্ধি করে নিজেরাই লজ্জিত হবে।”
 

তিনি সতর্ক করে বলেন, সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন, তাই মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। প্রতিশোধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না।
 

অভিযোগ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান জানান, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কারণ সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না। আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আগেই নজরদারি করতে হবে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর বাড়ি পাঠিয়ে দিলে সেটি রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়।”