মাদারগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা, ভুক্তভোগীর থানায় অভিযোগ 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:০৪ অপরাহ্ণ   |   ৩৬ বার পঠিত
মাদারগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা, ভুক্তভোগীর থানায় অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 


জামালপুরের মাদারগঞ্জে রেওয়াজকৃত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি মহলের বিরুদ্ধে।  


রোববার বেলা ২ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওই উপজেলার কড়ইচড়া ইউনিয়নের মহিষবাথান মৌজার অজ্ঞাত  খতিয়ানের  বিআরএস দাগ নং- ২৪৩০ মোট জমির  ২৪ শতাংশের কাতে ২৪ শতাংশ জমি পূর্ব পুরুষদের মাধ্যমে  রেওয়াজকৃত হিসেবে চাষাবাদ করে আসতেছে একই এলাকার আব্দুল ওয়াহাব।  উক্ত জমিটি দখলের জন্য জুলফিকার আলি সহ কয়েকজন হামলা করে আবদুল ওয়াহাবের এক চালা টিনের ঘর ও হাতে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করে এবং  বাউন্ডারির নেট ও জিআই তার কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। 
 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। 
 

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপরোক্ত খতিয়ান ও দাগের  জমিটি মৌখিক রেওয়াজ বদল ও রেকর্ড মূলে মালিকানা প্রাপ্ত হইয়া ভোগ দখল করে আসিতেছে। জমিটি  কে কেন্দ্র করে গত ৬ ডিসেম্বর/২০২৫ শনিবার দুপুরে ওই এলাকার জুলফিকার আলি (৬৫) ও জাকিউল ইসলাম  নাসিম  (৫০),  এর নেতৃত্বে ৮/৯ জন জমিটি দখলের জন্য পশ্চিম পাশে একচালা টিনের ঘর ও বাউন্ডারির  নেট ও জিআইতার কেটে নিয়ে যায় । এতে ভুক্তভোগীর প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন হয়।  আব্দুল ওয়াহাব এর পরিবারের অপ্পো মোবাইল টি হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে  ভাংচুর করে এবং পুকুরে ফেলে দিয়ে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে  ৷ পরে দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে মারধোড় করে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ।  এ ঘটনায় আহত কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় অবস্থান করছে। গত ৬ ডিসেম্বর/২৫ রাত ৯ টায় আব্দুল ওয়াহাব বাদী হয়ে ওই এলাকার  জুলফিকার আলি (৬৫), জাকিউল ইসলাম নাসির(৫০), রুকন মিয়া (৩৫),  শুভ মিয়া ও আরিফ রেজা (৬০) ৫ জন কে অভিযুক্ত করে আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত করে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। 
 

অভিযোগক্ত জাকিউল ইসলাম নাছিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এটা আমার বাবা জমি আমাদের কাগজ পত্র সব ঠিক আছে। আর আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
 

এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফকে থানা না পেয়ে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় কোন প্রকার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয় নি।