 
                            
আনোয়ার সাঈদ তিতু (কুড়িগ্রাম জলা প্রতিনিধি):-
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার পাশ করে প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষা করেছেন। জানা গেছে, পরীক্ষার আগে তার সব বান্ধবীর বিয়ে হয়ে যায়। ফলে রুবিনা ছাড়া আর কোনো পরীক্ষার্থী ছিল না।
রোববার (১২ মে) এসএসসি পরীক্ষায় ২.১১ পয়েন্ট পেয়ে পাশ করে পরিবার ও উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মান রক্ষা করতে পেরে সবার মাঝে এক আনন্দ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার একমাত্র শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, অনন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়। ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টির নিম্ন মাধ্যমিক শাখা এমপিওভুক্ত হয়। এরপর ২০১২ সালে মাধ্যমিক পর্যায় পাঠদানের অনুমতি পায়। পাঁচজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ১১ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। কাগজে-কলমে শতাধিক ছাত্রী দেখানো হলেও বিদ্যালয়টি থেকে মানবিক বিভাগের একমাত্র শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। একটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় শিক্ষকদের কর্মতৎপরতা নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ অবস্থার জন্য করোনা ও বাল্যবিবাহকে দায়ী করেছেন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার জানান, ভালো রেজাল্ট করতে না পারলেও পাশ করে নিজের সম্মানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষা করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন সামনের এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো করতে পারি।
প্রধান শিক্ষক নুর জামাল মিয়া জানান, রেজাল্টের আগে কিছু টেনশন ছিল। যখন রেজাল্ট সিটে দেখলাম রুবিনা পাশ করেছে খুশি হয়েছি। কারণ সে পাশ করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষা করেছে।
 
                                                
                                                 
                                                
                                                 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                         
                                        
                                        
                                    