অতিরিক্ত ঘাম কখন রোগের লক্ষণ?

প্রকাশকালঃ ২৭ জুন ২০২৪ ০৫:১৩ অপরাহ্ণ ৩৬৬ বার পঠিত
অতিরিক্ত ঘাম কখন রোগের লক্ষণ?

ঢাকা প্রেস নিউজ

ঘাম আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে তা কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে।

 

কিছু লক্ষণ যা মনে রাখা উচিত:

হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘাম: যদি কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ করে ঘামতে থাকেন, বিশেষ করে রাতে ঘুমের সময়, তাহলে এটি থাইরয়েড, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা অন্য কোন গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে।

নির্দিষ্ট অংশে ঘাম: যদি শুধুমাত্র একটি অংশে, যেমন মাথা, হাত, পা বা বগলে অতিরিক্ত ঘাম হয়, তাহলে এটি কোন স্থানীয় সংক্রমণ বা স্নায়ুজনিত সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

অন্যান্য উপসর্গের সাথে ঘাম: যদি ঘামের সাথে জ্বর, ক্লান্তি, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো অন্যান্য উপসর্গ থাকে তবে তা আরও উদ্বেগজনক হতে পারে।
 

কিছু রোগ যার লক্ষণ হিসেবে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে:

হাইপারথাইরয়েডিজম: থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত কারণে অতিরিক্ত ঘাম, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, কাঁপুনি, ওজন হ্রাস এবং অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

ক্যান্সার: লিম্ফোমা, লিউকেমিয়া এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের অন্যান্য পর্যায়ে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না হলে ডায়াবেটিস রোগীদের রাতে ঘাম হতে পারে।

মেনোপজ: মেনোপজের সময় নারীদের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে "হট ফ্লাশ" এবং রাতে ঘাম হতে পারে।

ইনফেকশন: যক্ষ্মা, টিবি, এবং HIV/AIDS এর মতো কিছু সংক্রমণের কারণে জ্বর এবং রাতে ঘাম হতে পারে।

নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার: পার্কিনসন্স রোগ এবং মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো কিছু স্নায়ুতন্ত্রীয় রোগের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
 

করণ নির্ণয় ও চিকিৎসা:

অতিরিক্ত ঘামের কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা করতে পারেন, যার মধ্যে রয়েছে রক্ত পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা এবং শারীরিক পরীক্ষা। কারণ নির্ণয়ের পর, ডাক্তার উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।