থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০২৪-এ বাংলাদেশের তিনটি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী
প্রকাশকালঃ
১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৫:১৫ অপরাহ্ণ ২১৫ বার পঠিত
আগামী ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল ২০২৪। আয়োজনের ২০তম আসরে যাচ্ছে বাংলাদেশের তিনটি চলচ্চিত্র। এ তালিকায় আছে নির্মাতা খন্দকার সুমনের ‘সাঁতাও’, নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতাল ঘর’ এবং সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’।
সাঁতাও
খন্দকার সুমনের ‘সাঁতাও’ সিনেমার গল্প এগিয়েছে পুতুল এবং তার প্রিয় গাভিকে কেন্দ্র করে। একই সময়ে পুতুল ও গাভিটি গর্ভধারণ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পুতুল তার শিশুসন্তান হারায় আবার প্রসবের পরে গাভিটিও মারা যায়। এত কষ্টের মাঝে পুতুল মাতৃত্বের নতুন অনুভূতি খুঁজে পায় তার অনাথ বাছুর লালুর মাঝে। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ এবং সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় গল্প চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির করেছে চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’।
ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল ও ফজলুল হক। সম্প্রতি চলচ্চিত্রটি ‘অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এটি দেখা যাবে বায়োস্কোপে।
পাতাল ঘর
মা ও মেয়ের মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েনের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘পাতালঘর’-এ অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি, নুসরাত ফারিয়া, মামুনুর রশীদ, সালাহউদ্দিন লাভলু, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ফজলুর রহমান বাবু, নাজিয়া হক অর্ষা, দীপান্বিতা মার্টিন, রওনক হাসান, নাসির উদ্দিন খান, মৌটুসি বিশ্বাস, এরফান মৃধা শিবলু প্রমুখ।
ছবিটিতে দেখা যাবে, এক মধ্যবিত্ত পরিবারে মায়ের আধিপত্য ও মেয়ের স্বাধীনতার লড়াই। মায়ের চাপ ও অত্যাচারে মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় পরিবারে টানাপোড়েন শুরু হয়।
নোনা পানি
খুলনার দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের কয়েকটি চরিত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘নোনা পানি’ সিনেমাটি। কাহিনি বিন্যস্ত হয়েছে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তাদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জয়িতা, বিলকিস বানু, রুবেলসহ আরো একঝাঁক অভিনয়শিল্পী।
ছবিটিতে দেখা যাবে, গ্রামীণ জীবনের নানা সমস্যা ও সংকট। মানুষের ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস, ঘৃণা, বিদ্বেষ সবকিছুই উঠে আসবে এই ছবিতে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক
থার্ড আই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল এশিয়ান চলচ্চিত্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য এই উৎসবে অংশগ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের তিনটি চলচ্চিত্রের সাফল্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নতুন অনুপ্রেরণা যোগাবে।