ভোটের লড়াই হবে ত্রি মুখী

প্রকাশকালঃ ১৫ মে ২০২৪ ০৬:৫৬ অপরাহ্ণ ৬৮৫ বার পঠিত
ভোটের লড়াই হবে ত্রি মুখী

সিরাজুল ইসলাম রতন (পলাশবাড়ী প্রতিনিধি):-



পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট যুদ্ধ,নবীনদের চেয়ে প্রবীন ব্যাক্তিরাই জনসমর্থনে এগিয়ে ।



আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২য় পর্যায়ে উত্তোরাঞ্চলের সব চেয়ে জনগুরুত্বপুর্ন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন  অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

 

উক্ত নির্বাচনে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫ জন প্রার্থী ছাড়াও একজন স্বতন্ত্র প্রাথী সহ মোট ৬ জন নবীন প্রবীন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ  করছেন।

 

তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ মোটর সাইকেল প্রতীক,উপজেলা  আওয়ামিলীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন,পাখি প্রতীক

সাধারণ সম্পাদক ও মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান  তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল দোয়াত কলম প্রতীক, জেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সদস্য এ্যাড: জরিদুল হক কাপ পিরিচ প্রতীক ও ছাত্রলীগ নেতা নাজিবুর রহমান নয়ন আনারস প্রতীক ও বিশিষ্ট  সমাজ সেবক তৌহিদুল আমিন মন্ডল সুমন ঘোড়া প্রতীক। 
 


 

নির্বাচনে প্রচার প্রচারনায় সরগরম বিভিন্ন অলিতে গলিতে চায়ের দোকানে চলছে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষন।সবার মুখে একই কথা আগামী নির্বাচনে কে হবেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের অভিভাবক। 

 

দলীয় প্রতীক না থাকায় ক্ষমতাশীন দল আওয়ামিলীগ থেকে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন ভাবে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পরেছেন।

 

ভোটারদের দাবি যার ব্যাক্তি ইমেজ বেশি ও দলীয় নেতাকর্মীদের অধিকাংশ  সমর্থন রয়েছে সেই হবে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
 


 

সেই ক্ষেত্রে সবার চেয়ে জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের দু বারের সফল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদুৎ, দীর্ঘ দিন চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করা, আওয়ামিলীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা,দল মত নির্বিশেষে সকলের আস্থা  বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করার কারনেই এবারের নির্বাচনে তিনি জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদী তার কর্মী সমর্থকরা।

 

বাব বার মনোনয়ন চেয়ে ব্যার্থ পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন না থাকায় তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘড় দেয়ার কথা বলে টাকা গ্রহন,দপ্তরী নিয়োগের টাকা গ্রহনসহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে থাকার পাশাপাশি ব্যাপক জনসমর্থন না থাকায় এই নির্বাচনে তার ভরাডুবি ঘটবে বলে দাবি করেন সাধারন ভোটারসহ আওয়ামিলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

 

ভোট যুদ্ধে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন  উপজেলা আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগ করা মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল, পারিবারিক ঐতিহ্য, রাজনৈতিক পরিচয়ে তার যে পরিমান জনসমর্থন রয়েছে তা দিয়ে কেবল পরাজয়ের পাল্লা টা কমানোই সম্ভব। বিজয় অর্জন করা সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কিছু ভোটার।

 

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড: জরিদুল হক উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের একজন প্রার্থী দাবি করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা এই ব্যাক্তি খুব বেশি একটা সুবিধা করতে পারবে না এমনটাই দাবি ভোটারদের।

 

নির্বাচনের মাঠে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদুল আমিন মন্ডল সুমন সদ্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে লটারিতে পরাজয় বরন করেছেন।তারপর থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন।বড় ভাই হোসেনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বড় বোন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ায় ভোট যুদ্ধে নবীন এই প্রার্থী হতে পারে ফ্যাক্ট!  তবে বিশ্লেষকরা মনে বিএনপি জামায়াত ভোট কেন্দ্রে না আসলে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।তবে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। 

 

নাজিবুর রহমান নয়ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ এই ছাত্র নেতা নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতেই কেবল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন বলে মনে করেন সচেতন ভোটাররা।তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা মুলক কিছু করতে পারবে না বলে ভোটারদের দাবি।

 

উল্লেখ্য পলাশবাড়ী পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ২ লক্ষ ২৩ হাজার ২ শ ৯ জন।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৯ ভোট  মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ২ ভোট। তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন।আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।