চট্টগ্রামে ডায়রিয়া রোগীর ৪০ শতাংশই কলেরায় আক্রান্ত

প্রকাশকালঃ ১০ মে ২০২৩ ১২:০৭ অপরাহ্ণ ১১০ বার পঠিত
চট্টগ্রামে ডায়রিয়া রোগীর ৪০ শতাংশই কলেরায় আক্রান্ত

ট্টগ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেড়েছে। ডায়রিয়া রোগীদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ কলেরায় আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্তরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিত্সা নিচ্ছে। শহরের চেয়ে গ্রামে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানায়। এতে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। হঠাত্ ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ে সঠিক কারণ নির্ণয় করা যায়নি। ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে ১২ সদস্যের একটি টিম ডায়রিয়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে চট্টগ্রামে অবস্থান করছে।

চিকিৎসকেরা জানান, গত প্রায় এক সপ্তাহ যাবত হঠাৎ করে নগরী ও জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। আক্রান্তরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চেম্বারে ও হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) সাধারণত ডায়রিয়া রোগীর বিশেষায়িত চিকিৎসা নিচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জটিল ডায়রিয়া রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ছুটে আসে। বর্তমানে বিআইটিআইডিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৮৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।


চিকিৎসকেরা জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর কলেরা শনাক্ত হচ্ছে। আক্রান্তদের জ্বর, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা হচ্ছে। ঘন ঘন পাতলা পায়খানার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। জানতে চাইলে বিআইটিআইডি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে সারা বছরই ডায়রিয়ার রোগী আসে। এখন হঠাত্ করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে গেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ বয়স্ক নারী ও পুরুষ। শিশুও রয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীর কলেরার জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে। এদের স্যালাইনের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া প্রচণ্ড দাবদাহ একটি কারণ। তবে কেন ডায়রিয়া বেড়েছে, তার কারণ নির্ণয়ের জন্য ঢাকা থেকে একটি টিম চট্টগ্রামে এসেছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করছে।’

চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ১০৬ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আক্রান্তরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ‘ডায়রিয়া রোগীদের জন্য প্রচুর স্যালাইনের প্রয়োজন হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩ হাজার স্যালাইন সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও ৫ হাজার স্যালাইনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সাপোর্ট আমাদের রয়েছে।’ চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজিব পালিত বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসব ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের আলাদা করে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।