ঢাকা প্রেস নিউজ
সরকার ২০২৫ সালের জন্য প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠান একে অপরের মধ্যে আনুপাতিক হারে ১৫টির বেশি প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাবে না। এছাড়া, এই কার্ডের মেয়াদ হবে তিন বছর।
গতকাল বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রাপ্তির পরিসর:
নীতিমালায় বলা হয়, গণমাধ্যমে কর্মরত সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, উপসম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, প্রতিবেদক, আলোকচিত্রী, এবং ভিডিও গ্রাফারদের মোট সংখ্যার আনুপাতিক হারে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড প্রদান করা হবে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে এই কার্ডের সংখ্যা মোট কর্মী সংখ্যার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না এবং একক প্রতিষ্ঠান ১৫টির বেশি কার্ড পাবে না। এই তালিকা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্যাডে সিলসহ প্রদান করতে হবে।
এছাড়া, অ্যাক্রিডিটেশন কমিটি এই তালিকা যাচাই-বাছাই করতে পারবে এবং ভুল তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কার্ড প্রাপ্তির যোগ্যতা ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখা যেতে পারে।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ ও তার বাতিলের শর্ত:
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ তিন বছর হবে। কার্ডের ইস্যু তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
কার্ড বাতিল বা স্থগিত করার জন্য কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো সাংবাদিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করেন, তবে তার বর্তমান প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে এবং তিনি নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া, যদি কোনো সাংবাদিক কর্মরত না থাকেন বা গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব না করেন, তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রধান তথ্য অফিসারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ফেরত পাঠাতে হবে। অন্যথায়, ভবিষ্যতে ওই সাংবাদিক বা প্রতিষ্ঠানকে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেয়া হবে না।
বাতিলের অন্যান্য কারণ:
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের জন্য প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড:
অবসরপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ সম্পাদক, বরেণ্য সাংবাদিক বা কলামিস্টগণ ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে পারেন। তবে, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পেতে হলে কমপক্ষে ২০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং বছরে অন্তত ১০টি প্রতিবেদন প্রকাশের প্রমাণ দিতে হবে।