শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২২টি কোম্পানি ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত হচ্ছে। আজ রোববার থেকে এসব কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করবে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। এরই মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যে ২২ কোম্পানি জেড শ্রেণিভুক্ত হচ্ছে সেগুলো হলো অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, ডেলটা স্পিনার্স, এফএএস ফাইন্যান্স, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কেয়া কসমেটিকস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ন্যাশনাল টি, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল, রেনউইক যোগেশ্বর, রিংসাইন টেক্সটাইলস, সাফকো স্পিনিং, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস, ঢাকা ডায়িং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, উত্তরা ফাইন্যান্স, ইয়াকিন পলিমার ও জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এর মধ্যে রেনউইক যোগেশ্বর, রিংসাইন টেক্সটাইলস ও উত্তরা ফাইন্যান্স এত দিন শেয়ারবাজারে ভালো মানের কোম্পানি হিসেবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত ছিল। বাকি ১৯টি কোম্পানি মধ্যম মানের কোম্পানি হিসেবে ছিল ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত।
গত বৃহস্পতিবার কিছু কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। তাতে বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দেবে না ও দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করবে না, সেগুলো জেড শ্রেণিভুক্ত হবে। এ ছাড়া ছয় মাস কোনো কোম্পানি উৎপাদনে না থাকলে এবং কোনো কোম্পানির রিটেইনড আর্নিংস ওই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি হলে সেটিও জেড শ্রেণিভুক্ত হবে।
জানা গেছে, যেসব কোম্পানি দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে জেড শ্রেণিভুক্ত হচ্ছে তার মধ্যে ডেলটা স্পিনার্স, কেয়া কসমেটিকস ও উত্তরা ফাইন্যান্স নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা করেনি। এ ছাড়া ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদনে না থাকায় জিবিবি পাওয়ার, খুলনা প্রিন্টিং, রিজেন্ট টেক্সটাইল ও ইয়াকিন পলিমার জেড শ্রেণিভুক্ত হচ্ছে। বাকি ১৫ কোম্পানি জেড শ্রেণিতে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের লোকসানে থাকায়।