বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভিপি নুরুল হক নুর

প্রকাশকালঃ ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ ৩০৪ বার পঠিত
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভিপি নুরুল হক নুর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হলে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

 

সোমবার (০১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনীতিবিদের সম্মানে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। নুরুল হক নুর বলেন, আজকে আবার বুয়েটে হিজবুত তাহরীর, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তোলা হচ্ছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

 

বুয়েটে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরারকে হত্যার পর ছাত্রলীগের যে অপরাজনীতির কবর রচিত হয়েছে, সেই অপরাজনীতিকে আবার চালু করার জন্য আওয়ামী লীগের সর্বমহল থেকে আওয়াজ তুলছে। বুয়েটকে পাকিস্তান, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বলে মন্তব্য করে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অপমান করছে। যাদের বুয়েটে পড়ার যোগ্যতা হয়নি, তারা বুয়েটকে ধ্বংসে ছাত্ররাজনীতি প্রবেশে চাপ দিচ্ছে।

 

ছাত্রলীগের নেতারা দলবল নিয়ে বুয়েটে যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের পরিষ্কার কথা, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায় হলে আমরা ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে রাজপথে নামব। তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা যে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সারা দেশের লক্ষ-কোটি মানুষ সেটাকে সমর্থন করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সারা দেশের মতো বুয়েট দখলে ছাত্রলীগের অপরাজনীতি চালু করতে চাচ্ছে।

 

বুয়েটের সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে ১২ দলীয় জোটের সংহতি তিনি আরও বলেন, স্বাধীন দেশে আজকে আমরা পরাধীনের মতো জীবনযাপন করছি। যেখানে বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার নেই; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে। কাজেই আমরা যে ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছি- আসুন, ফ্যাসিবাদ হঠাতে একসঙ্গে বা যুগপৎভাবে আন্দোলনে নামি।

 

আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকার হঠিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। অনেকেই আছেন নির্বাচনে যাননি, কিন্তু তলে তলে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন। তাই তারা আন্দোলনেও নামছেন না। কাজেই রাজপথের আন্দোলনেই দেখা যাবে কারা জনগণ, গণতন্ত্রের পক্ষে।

 

ইফতার মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাপের একাংশের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।