মুরাদনগরে প্রধান শিক্ষকে অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশকালঃ ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৪:০৫ অপরাহ্ণ ৬৩৯ বার পঠিত
মুরাদনগরে প্রধান শিক্ষকে অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঢাকা প্রেস
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ-


ঘুষ-দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কুড়াখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন সরকার এর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয় চত্বরের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পরীক্ষার্থীদের দাবী, মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন সরকার পদে আসীন হয়েছেন। তিনি ঘুষ নিয়ে বিদ্যালয়ে অযোগ্য শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। আর্থিক অস্বচ্ছতার, অতিরিক্ত বেতন, পরীক্ষা ফি আদায়, ফর্ম ফিলাপ, রেজিস্ট্রেশন ফি এবং কোচিং ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাকিব অভিযোগ বলেন, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা স্যার আত্মসাৎ করেছেন। কোন হিসেব দেয়না। এছাড়া আমাদের কাছে থেকে তিনি নানা কারনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। ঠিকমতো ক্লাস করেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অসন্তোষজনক। বিদ্যালয়ের গুরুত্বপুর্ন কোন কাজই করেন না। শুধু বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ এর ধান্দা খুজেন। ঘুষের বিনিময়ে স্যার অযোগ্য শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেন। সব সময় আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। আমরা এই স্যারের অপসারণ চাই। ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফুর, জান্নাত, আয়েশা, তামান্না, ফারিয়া, রিয়া মনি, নুসরাত জাহান, সোমাইয়া ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রিমা বলেন, প্রধান শিক্ষক স্যার বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফান্ডের নামে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে প্রধান শিক্ষক মানসিক নির্যাতন করেন। আমাদের অনেক সহপাঠীকে বিভিন্ন অজুহাতে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার ভয় দেখান। এই শিক্ষকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা নির্দোষ। উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।আমি গ্রামের প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিফাত উদ্দীন বলেন, ছাত্র ছাত্রীদেরকে বলেছি সরকার বরাবর দরখাস্ত করতে।এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।