হজের কার্যক্রম সহজ করতে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে হজ

প্রকাশকালঃ ২২ জুন ২০২৩ ০৬:৩০ অপরাহ্ণ ১৮৮ বার পঠিত
হজের কার্যক্রম সহজ করতে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে হজ

জের পুরো কার্যক্রম সহজ করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে সৌদি আরব। অতীতের হজ পালন বর্তমান সময়ের মতো (সহজতর) ছিল না। ভবিষ্যতে এতে আরো ভিন্নতা আসবে। বিষেশত তথ্য-প্রযুক্তি হজ কার্যক্রমকে একেবারে বদলে দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী আবদুল ফাত্তাহ।

গত ২০ জুন জেদ্দায় হজবিষয়ক ৪৭তম সিম্পোজিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়া, পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইসসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। 

আবদুল ফাত্তাহ আরো বলেন, এবার স্মার্ট ব্রেসলেট মাধ্যমে হজযাত্রীদের ট্র্যাকিং ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ‘নুসুক’ অ্যাপের মাধ্যমে হজ পালনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন হাজিরা।


তা ছাড়া তাফবিজ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিবহনব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। হাজিদের মক্কার বাসা থেকে হজের পবিত্র স্থানগুলোতে অবস্থান এবং সেখান থেকে মসজিদুল হারামে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে অ্যাপটি সহায়তা করবে। 

হজযাত্রীদের সেবার কথা তুলে ধরে বলা হয়, এ বছর প্রায় ২০ হাজার বাস হজযাত্রীদের পরিবহনসেবা দেবে। এসব বাস সারিবদ্ধ করা হলে তা প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরত্ব তৈরি করবে।


২০ লাখের বেশি হজযাত্রী এসব বাসে করে হজের পাঁচ দিন যাতায়াত করবেন। হজ মৌসুমে চারটি অঞ্চলের ১৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩২ হাজার চিকিৎসক হজযাত্রীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। হজের সময় স্বাস্থ্যসেবা দিতে আরাফায় ৪৬টি, মিনায় ২৬টি, হজের স্থানগুলোর রাস্তার পাশে ছয়টি এবং জামারাতে ১৬টিসহ মোট ৩২টি হাসপাতাল ও ১৪০টির বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। 

এবার বিশ্বের ১৪ লাখের বেশি হজযাত্রীর জন্য বিভিন্ন কম্পানির ৪০০টিরও বেশি পরিষেবা প্যাকেজ রয়েছে। এসব প্যাকেজের আওতায় আবাসন, খাদ্য ও ক্যাটারিং ব্যবস্থা করা হয়েছে।


তা ছাড়া হজের স্থানগুলোতে এবার হাজিদের চলাচল সহজ করতে এক হাজার ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশটির ট্রান্সপোর্ট জেনারেল অথরিটি (টিজিএ) দ্বিতীয় বছরের মতো পরিবহনব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে এবার তা চালু করেছে। হজযাত্রীদের সুরক্ষায় স্কুটারের চলাচলের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ট্র্যাক। তা অন্যান্য যানবাহন ও পথচারীদের পথ থেকে পুরোপুরি পৃথক। 

এসব স্কুটারে করে কাদানা স্টেশন থেকে মাহবাস আল-জিন টানেলে যাওয়া যাবে; এর কাছেই অবস্থিত মসজিদুল হারামের বাব আলী স্টেশন। স্কুটার চালানো শেখাতে সেখানে রয়েছে বিশেষজ্ঞ দল।

হজের সময় উচ্চ তাপমাত্রা থেকে সুরক্ষায় হজযাত্রীদের ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেন দেশটির জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী হানি জোখদার। অসুস্থ হজযাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, তাঁরা যেন নিজেরাই জামারাতে পাথর ছুড়তে না যান, বরং তাঁদের পক্ষ থেকে অন্য কাউকে এ কাজের জন্য নিযুক্ত করা উচিত। নতুবা রোদের মধ্যে দীর্ঘ পথ হাঁটলে তাঁরা বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।’