‘আমার সম্পর্ক শুধুই ঈসার সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে নয়’ — আদালতে মডেল মেঘনা আলম

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:১৯ অপরাহ্ণ   |   ১৩৬ বার পঠিত
‘আমার সম্পর্ক শুধুই ঈসার সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে নয়’ — আদালতে মডেল মেঘনা আলম

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
 


‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমার সম্পর্ক শুধুই সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে নয়। আমাদের বিয়ে হয়েছিল। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যে আমি তার সন্তান নষ্ট করেছি— যা মোটেও সত্য নয়।’


এমন বক্তব্য দিয়েছেন মডেল মেঘনা আলম বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে।

 

সেদিন তাঁকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন, যার পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর। আদালত তাঁর গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
 

এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ‘সুন্দরী নারীদের দিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার’ অভিযোগে প্রতারণার একটি মামলা হয়। এই মামলায় আজ মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামি হিসেবে তাঁর কথিত সহযোগী, সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
 

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অভিযোগ করেন, ‘আসামিরা বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে অর্থ আদায়ের জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে প্রতারণা করে আসছেন। সর্বশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
 

শুনানির সময় আদালতে নিজের নাম ভুলভাবে উচ্চারণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেঘনা। তিনি বলেন, ‘আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।’
 

অন্যদিকে, আসামি দেওয়ান সমির নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনার বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে— এটা ভুল। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ, দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলাম। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছি। মামলার অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
 

আদালত সব শুনানি শেষে দুই আসামিকেই গ্রেপ্তারের আদেশ দেন এবং দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 

আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেঘনা বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার চাই। ঈসা ছাড়া আমার আর কারও সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং কথা বলতে নিষেধ করেন।