ঢাকা প্রেসঃ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিও হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। তাদের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব সোমবার জব্দের নির্দেশ দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই নির্দেশনা পাওয়ার পর পুঁজিবাজারের ইলেকট্রনিক্স শেয়ার সংরক্ষণাগার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ফ্রিজ করে দেয়।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের নির্দেশে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ছয়টি ব্রোকারেজ হাউসে ছয়টি বেনিফিশিয়াল ওনার (বিও) হিসাব পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী:
# এই হিসাবগুলো থেকে কোন শেয়ার বিক্রি করা যাবে না।
# বেনজীর আহমেদের আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বিও হিসাব রয়েছে।
# তার স্ত্রী জিশান মির্জার সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বিও হিসাব রয়েছে।
# তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বিও হিসাব রয়েছে।
# তার ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বিও হিসাব রয়েছে।
এছাড়াও, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশও কার্যকর করা হয়েছে।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে:
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের নামে থাকা জমি যাতে হস্তান্তর না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলার সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর আদালতের জব্দের আদেশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংক হিসাবের অর্থ যাতে হস্তান্তর বা রূপান্তর না হয় সেজন্য আদালতের আদেশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে।
বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামের জব্দ জমি বিক্রি, হস্তান্তর বন্ধে আদালতের আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তর বন্ধে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসিতে আদালতের রায়ের কপি পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর বন্ধে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে আদালতের ওই আদেশ পাঠানো হয়।
একই সঙ্গে ব্যাংকে জমা থাকা টাকা উত্তোলন বন্ধে অবরুদ্ধের আদেশ সোনালী ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়েছে দুদকের
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে।