প্রকাশকালঃ
২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০১:৫২ অপরাহ্ণ ১৮৪ বার পঠিত
ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে মেঘনা, যমুনাসহ বিভিন্ন নদী থেকে মাছ ধরার নৌকা, বিপুল কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অর্ধশতাধিক জেলে। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানান।
চাঁদপুর: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় পৃথক অভিযানে ৫০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে আটক হয়েছে ২৩ জন এবং হাইমচরে আটক হয়েছে ২৭ জন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করে রবিবার বেলা ১টা পর্যন্ত উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব জেলেকে আটক করা হয়। চাঁদপুর সদরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযানে অংশ নেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মত্স্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
এ সময় আটক ২৩ জেলের মধ্যে ১৭ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান এবং ছয় জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ করা হয় ৮০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, চারটি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ কেজি ইলিশ। এদিকে হাইমচরে মেঘনা নদীতে অভিযানে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ উপজেলা সহকারী মত্স্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ। এ সময় ২৭ জেলেকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয় দুটি মাছ ধরার নৌকা, ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ৫০ কেজি ইলিশ।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর অংশে যমুনা নদী থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল, ইলিশসহ তিন জেলেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ সদর অংশে দিনব্যাপী সিনিয়র উপজেলা মত্স্য অফিসার মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ১২ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৭৯টি চায়না জাল, ২.৫ কেজি ইলিশ মাছসহ তিন জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রকিবুল হাসান।
বোরহানউদ্দিন (ভোলা): বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে মত্স্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন পরিচালিত অভিযানে ৮০ হাজার মিটার অবৈধ জাল ও ১০০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। শনিবার বিকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে এসব জাল জব্দ করা হয়। কারেন্ট জাল বোরহানউদ্দিন খেওয়াঘাট এলাকায় পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। উদ্ধারকৃত মা ইলিশ বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম): উপজেলার ডোমখালী ঘাটসংলগ্ন সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে প্রায় ৫ হাজার মিটার চরঘেরা জাল জব্দ করেছে ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটি। টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান মিররসাই উপজেলা সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, রবিবার ছয়টি চরঘেরা জাল জব্দের পর পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত প্রায় ৫ হাজার মিটার চরঘেরা জালের দাম আনুমানিক আড়াই লাখ টাকা। ইলিশ সংরক্ষণে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।