ভারতের দুই রাজ্যে মোট ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আসামের করিমগঞ্জে আটক করা হয় ৯ জনকে, যাদের পরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় জাল কাগজপত্রসহ আটক হয়েছেন আরও ৬ জন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আসামের করিমগঞ্জ জেলায় ৯ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মো. মামুন, আবু নাইম, রাশেদ ইসলাম, মুরাদ আলী মণ্ডল, মো. আশরাফুল হক, মো. বসির হাওলাদার, মো. রবিউল হাওলাদার, মো. মহাবত আলী এবং মো. মহিম হোসেন। পরে তাদের বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ অভিযানের প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক পোস্টে বলেন,
"আজ আসাম পুলিশ করিমগঞ্জে ৯ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে শনাক্ত করেছে ও গ্রেপ্তার করেছে এবং পরে তাদের সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছে।"
কর্ণাটকের চিত্রদুর্গা জেলায় জাল নথিপত্রসহ আরও ৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বি দিনাকর জানান, প্রথমে সন্দেহের ভিত্তিতে ১৫ জনকে আটক করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, তাদের মধ্যে ৬ জন জাল আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং অন্যান্য নথি ব্যবহার করে ভারতে বসবাস এবং কাজ করছিলেন।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন শেখ সাইফুর রহমান, মুহাম্মদ সুমন আলী, মাজহারুল, আজিজুল শেখ, মুহাম্মদ সাকিব সিকদার এবং সানোয়ার হোসেন। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন এবং বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করছিলেন। চিত্রদুর্গায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জাল পরিচয়ের মাধ্যমে কলকাতায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, লেবার কার্ডসহ বিভিন্ন নথি তৈরি করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় অবৈধ অনুপ্রবেশের পাশাপাশি জাল নথি ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ একযোগে কাজ করছে।