চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সরাতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা আবুল হাসান আলী হাসান চৌধুরীর বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ঘটনার বিবরণ:
চাকরিচ্যুত সদস্যরা শাহবাগ মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে কাকরাইলের দিকে অগ্রসর হন। কাকরাইল মসজিদ মোড়ে পুলিশ তাদের মিছিল থামিয়ে দিলে তারা সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
পুলিশ প্রথমে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। তবে আন্দোলনকারীরা অবস্থানে অনড় থাকলে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধিকে যমুনা ভবনে পাঠানোর প্রস্তাব দেন এবং পুরো জমায়েতকে সরে যেতে ১০ মিনিট সময় দেন। আন্দোলনকারীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে পুলিশ জলকামান দিয়ে পানি ছুড়ে এবং ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আহত ও আটক:
পুলিশের এ অভিযান চলাকালে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটকও করা হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের ধীরে ধীরে সরিয়ে কাকরাইল থেকে মৎস্য ভবনের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনের দাবিসমূহ:
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা তিনটি প্রধান দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন:
১. ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহাল
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের বিতর্কিত ধারা বাতিল
৩. বিডিআর নাম পুনর্বহাল ও কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তি
এই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।