আইসিসির টাইমড আউট নিয়ম, যা কিছুদিন আগ পর্যন্ত কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল, এখন নিয়মিত দেখা যাচ্ছে ২২ গজে।
বিশ্বকাপের সেই ঘটনার পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বারবারই উদযাপনের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসছেন। নাগিন ড্যান্সের মতো এবার টাইমড আউটের ইস্যু উদযাপনের অনুসঙ্গ হিসেবে সামনে এসেছে।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের সিরিজ জয়ের পরে টাইমড আউট উদযাপনে নিশ্চিতভাবেই গা জ্বলেছে বাংলাদেশি ক্রিকেট ভক্তদের। শিরোপার মঞ্চে ট্রফি হাতে ওদের এমন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণে তিরস্কারের স্পষ্ট ভাব।
সিরিজ জয়ের পর লঙ্কানদের আচরণে অনেকেই হয়তো দোষ খুঁজে পাবেন। তবে নিভে যেতে বসা বিতর্কিত এই উদযাপনের আগুনে ঘি ঢেলেছে বাংলাদেশই।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট শিকার করে টাইমড আউটের ইঙ্গিত করেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তার জবাব সিলেটের মাটিতে সিরিজ জয় করে যেন কড়ায়-গণ্ডায় ফিরিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা।
অনেকেই এই উদযাপনকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। টাইমড আউটের ইঙ্গিত দিয়ে একে অপরকে কটাক্ষ করলেও তা তাতিয়ে দিচ্ছে ক্রিকেটারদের। যার প্রভাব পড়ছে মাঠের পরফরমেন্সে। ক্রিকেটে অনেক সময় বড় হয়ে উঠে মনস্তাত্বিক লড়াই। আর তাই এটাকে নিছক একটা কৌশল হিসেবেই মনে করছেন কেউ কেউ।
গেল কয়েক বছরে ২২ গজে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ মানেই যেন আলাদা উত্তাপ। যার শুরুটা হয়েছিল নিদাহাস ট্রফিতে নাজমুল হাসান অপুর নাগিন ভঙ্গিতে উদযাপনের মধ্য দিয়ে। বেশ কিছু সময় দু-দলের ক্রিকেটার উইকেট শিকারের পর এমন সেলিব্রেশন করেলেও মাঝের সময়ে পরিস্থিতি ছিল শান্ত। সেই জায়গা এখন দখল করেছেন সাকিব-ম্যাথিউসের টাইমড আউট!