বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:৫৭ অপরাহ্ণ   |   ১৫০ বার পঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

ঢাকা প্রেস নিজস্ব প্রতিনিধি:-



রাজশাহীর বাগমারায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডকে  লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নরদাস ইউনিয়নের মাদিলা গ্রামের মৃত মৃত আফছার আলী প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে।  
 

সোমবার ( ১৪ এপ্রিল) নরদাস ইউনিয়নের   মাদিলা গ্রামের হাজীপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। 
 

ভুক্তভোগী ঐ মুক্তিযোদ্ধার নাম আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা মো.খইবর আলী। তিনি একই গ্রামের মৃত সাবুর আলী প্রামাণিকের ছেলে। তিনি মাদিলা গ্রামের হাজীপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি এবং পানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা। 


ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা  মো. খইবর আলী বলেন,
আমি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগমারায় ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করি এবং প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে পানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করি। আমি এলাকায় অত্যন্ত সুনামের সাথে বসবাস করি। 

 

আমি বর্তমানে হাজীপাড়া জামে মসজিদ সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেছি। মসজিদে একজন ব্যক্তি দান করেন আর আমাকে দান কারী বলেন যেন তার নাম না বলি। গতকাল মসজিদে সবার সামনের দানের কথা বললে এটি নিয়ে একই গ্রামের জব্বার জোর করতে থাকে দানকারী ব্যক্তির নাম ঘোষণা করার জন্য। এক পর্যায়ে দানকারী ব্যক্তির নাম জানার পড়ে সে বলে ঐ ব্যক্তি অন্য মসজিদে নামাজ পড়েনা তাই তার দানের টাকা নেওয়া যাবে না এবং টাকা ফেরত দেয়ার জন্য জোর করতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি নিষেধ করলে জব্বার আমাকে মারতে আসে এবং এক পর্যায়ে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
 

তিনি আরো বলেন,দেশের মানুষের কাছে আমার দাবি এটির সুষ্ঠ বিচার যেন কর হয়। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ও প্রশাসনের কাছে আমার দাবি এটির সুষ্ঠুভাবে সুরাহা করা হয় যাতে আরো কোনোদিন কোনো মুক্তিযোদ্ধা অন্যায়ভাবে লাঞ্ছিত না করা হয়। 


একই গ্রামের যুবক অনিক বলেন, সেদিন আমিও উপস্থিত ছিলাম। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা খইবর আলীর ওপর হামলার চেষ্টা করেন জব্বার। মসজিদের ভেতরে এমন অকথ্য ভাষা এর আগে শুনিনি। তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে জব্বার যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মুক্তিযোদ্ধা খইবর আলী আমাদের এলাকার গর্ব। তিনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ও ছিলেন তাই আব্দুল জব্বারের শাস্তি দাবি করছি। 
 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,এর আগেও আব্দুল জব্বার এক ব্যক্তিকে মারধার করেন এবার আবার বীর মুক্তিযোদ্ধা খইবর আলীকে এমন লাঞ্ছিত করার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমরা এটির দ্রুত বিচার প্রত্যাশা করছি। 


এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল জব্বারের নাম্বারে একাধিকবার কল করলে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
 

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।