নড়িয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে
প্রকাশকালঃ
২২ জুন ২০২৩ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ ২৮৮ বার পঠিত
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘড়িষার বাজারের হাজী জালাল উদ্দিন মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিহতের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে অভিযুক্তকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় স্বজনরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
নিহত নার্গিস আক্তার (৪০) ঘড়িষার বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মাঝির স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলের নাম মেহেদী হাসান জাহিদ (২৫)।
নিহতের পরিবার, নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘড়িষার বাজারে ব্যবসায়ী সেলিম মাঝির একটি বিপণিবিতান রয়েছে। হাজী জালাল উদ্দিন মার্কেটের মালিকও সেলিম মাঝি। মার্কেটের তৃতীয় তলার একটি বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি।
সেলিম ও নার্গিস আক্তার দম্পতির বড় ছেলে মেহেদী হাসান জাহিদ। গতকাল বিকেলে একটি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে জাহিদের মা-বাবা বাড়িতে আসেন। তখন জাহিদ ও নার্গিস আক্তারকে বাড়িতে রেখে সেলিম দোকানে চলে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেলিম বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান।
তিনি অনেক ডাকাডাকির পরও ভেতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। এতে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় নার্গিসকে মেঝেতে পড়ে থাকতে এবং পাশেই ছেলে জাহিদকে দা ও রক্ত হাতে বসে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় নার্গিসকে উদ্ধার এবং জাহিদকে আটক করে বেঁধে রাখা হয়। নার্গিসকে চিকিৎসার জন্য ঘড়িষার বাজারের বেসরকারি মা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
সেলিম মাঝি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি বাইরে গেলে আমার কুলাঙ্গার ছেলে আমার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়েও বাঁচাতে পারলাম না। আমি কী নিয়ে থাকব। এই কুলাঙ্গার সন্তানের ফাঁসি চাই।’
ঘড়িষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হঠাৎ খবর পাই স্থানীয় লোকজন ব্যবসায়ী সেলিম মাঝির ছেলে জাহিদকে বেঁধে রেখেছে। কারণ তিনি তাঁর মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। পরে পুলিশ জাহিদকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।’
নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘড়িষার বাজারে সন্তান তাঁর মাকে কুপিয়েছেন—এ খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছিল। এর আগেই নার্গিস নামের ওই নারী মারা যান। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হত্যায় অভিযুক্ত ছেলে মেহেদী হাসান জাহিদকে আটক করে থানায় আনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বাদী অভিযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’