মোংলায় শতাধিক নামিদামী গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে, বিড করা যাবে অনলাইনেও
মোংলা বন্দর জেটিতে রক্ষিত ১০০টির বেশি আমদানিকৃত বিভিন্ন মডেলের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ও অন্যান্য মালামাল নিলামে তুলেছে মোংলা কাস্টম হাউজ। বন্দর দিয়ে আমদানি করা গাড়িগুলো দীর্ঘদিন ধরে খালাস করেননি আমদানিকারকরা।
সোমবার (৩ জুন) বিকেলে মোংলা কাস্টম হাউজের ওয়েবসাইটে নিলামযোগ্য গাড়ি ও অন্যান্য মালামালের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয়েছে। যে কেউ ৫ জুন সকাল থেকে ৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন ও বিড করতে পারবেন।
নিলামে তোলা পণ্যের মধ্যে রয়েছে টয়োটা, করোলা, নিশান, লেক্সাস, হাইছি ও নোয়াসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ১০৭টি গাড়ি।গাড়ির মধ্যে ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ ছাড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও নিলাম করা হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেননি। এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি।
গাড়ির নিলামে অনলাইন থেকে বিড করা যাবে। এ ছাড়া নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে।
মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিাধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী বলেন, ‘জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। প্রথম চালানে এ বন্দর দিয়ে ২৫৫টি গাড়ি আমদানি করা হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।’