বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের ভারসাম্য রক্ষায় উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। আগামী মাস থেকে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমিয়ে দেবে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান সাংবাদিকদের বলেন, উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত জুলাই মাসের জন্য নেওয়া হয়েছে। এর মেয়াদ বাড়তে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবের এক ঘোষণায় বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম।
রোববার সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই তারা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে গড়ে অন্তত ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল কম উৎপাদন করবে। সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুল আজিজ বিন সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলেন, এটি আমাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তির দিন।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাস দেশগুলোর প্রতিনিধিরা কয়েক ঘণ্টার আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর ‘স্বেচ্ছায়’ উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। জোটগতভাবে দৈনিক ১৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানো হবে। এর মধ্যে সৌদি একাই কমিয়ে দেবে ১০ লাখ ব্যারেল।
গত এপ্রিলে ওপেক প্লাসের বেশ কয়েকটি সদস্যদেশ স্বেচ্ছায় দিনে ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। হঠাৎ নেওয়া এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তেলের দরপতন খানিকটা কমানো গেলেও এটি বেশি দিন টেকসই হয়নি।
উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পরও তেলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এতটা কমেছে।
এদিকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলছে, এর ফলে রাশিয়াই উপকৃত হবে। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি বাণিজ্যের ওপর অবরোধ আরোপ করলেও তেলের দাম বাড়ায় এমনিতেই ওই অবরোধ খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না।