মধ্য গাজার নুসেইরাতে একইসঙ্গে স্থল ও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই এ এলাকাটি নিয়মিত হামলার শিকার হয়েছে। হামাসের হাতে বন্দি চার জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য গাজার আল-নুসেইরাত এলাকায় তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় নিহতের সংখ্যা ২১০ ছাড়িয়েছে। মধ্য গাজার নুসেইরাতে একইসঙ্গে স্থল ও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই এ এলাকাটি নিয়মিত হামলার শিকার হয়েছে।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, নুসেইরাতের এক আবাসিক মহল্লায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। দুইটি পৃথক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে জিম্মিদের লুকিয়ে রেখেছিল হামাস। তাদের উদ্ধার করতে গেলে আইডিএফের সদস্যরা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এ সময় সেনাদের সহায়তার জন্য বিমানহামলা চালানো হয়।
হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা জানি ১০০ জনের কম ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কতজন জঙ্গিবাহিনীর সদস্য, তা আমার জানা নেই।পুলিশের বিবৃতিতে জানা গেছে, এক ইসরায়েলি স্পেশাল ফোর্স কমান্ডার এই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন।গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এএফপির সর্বশেষ হিসাব মতে, এই হামলায় এক হাজার ১৯৪ জন নিহত হন। একইসঙ্গে ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। গত নভেম্বরে বন্দি বিনিময়ের সময় মুক্তি পান ১০০ জিম্মি। বাকি জিম্মিদের মধ্যে ১১৬ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলের দাবি, অন্তত ৪০ জিম্মি নিহত হয়েছেন।
নুসেইরাত শিবিরের এই স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজার ৮০১ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ৮৩ হাজারেরও বেশি। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
শনিবার দিনের শেষে ইসরায়েলি বিমানহামলায় মধ্য গাজার আল-বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হন।