আজ রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার-এ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মানবিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ দেশের উন্নয়নে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নয়, সমাজ, পরিবার ও দেশের প্রতি কর্তব্যও পালন করতে হবে।
তিনি পরিশ্রমকে সফলতার মূল চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “আমার ৩৫ বছরের চাকরিজীবনে প্রতিটি পদক্ষেপ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিয়েছি। কোনো কিছুই একদিনে আসে না। পরিশ্রমই সাফল্যের মূল শক্তি।”
নবীনদের স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করে তিনি বলেন, “স্বপ্ন ছাড়া মানুষ এগোতে পারে না। ভবিষ্যতে কোথায় অবদান রাখতে পারবে তা এখন থেকেই ভাবা উচিত।”
প্রতিযোগিতা ও আত্মবিশ্বাসের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতা কঠিন, তাই প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস অপরিহার্য। নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।”
ড. সালেহউদ্দিন মায়েদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “সন্তানদের সফলতার পেছনে মায়েদের ত্যাগ ও পরিশ্রম অপরিসীম। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, তাদের মা সকল দায়িত্ব পালন করেছেন।”
তিনি তরুণদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে। মানবতা, সততা ও পরিবেশ সুরক্ষা-এর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “পৃথিবী একটাই, এটিকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।”
সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারাহনাজ ফিরোজ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া এবং রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল মতিন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমরা বৈষম্যহীন সমাজ চাই, যেখানে রাজনীতি মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য হবে। নিজেকে পরিবর্তন করে ন্যায়ভিত্তিক ও পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”
সমাবর্তন ২০২৫-এ ৫টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ থেকে মোট ১,৪০৭ জন স্নাতককে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সর্বোচ্চ সিজিপি অর্জনের জন্য ৫ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং ৪০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।