নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা প্রেস-
আজ ১২ ভাদ্র মঙ্গলবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলা ১৩৮৩ সনের এই দিনে ঢাকায় তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ৭৭ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এই দিনটিতে প্রতিবছর জাতি তাঁকে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করে।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাকনাম ছিল দুখু মিয়া। শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হয়েছেন তিনি। কবি নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল ছিলেন মাত্র ২৩ বছর। এই সময়েই সাহিত্যজীবনের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
বাংলা কবিতায় নতুন ধারার প্রবর্তক নজরুল বাংলা গজলেরও পথিকৃৎ। কবিতা, কথাসাহিত্য, সংগীত, সাংবাদিকতাসহ সংস্কৃতির নানা খাতে স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেছেন নজরুল। তবে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসককে লক্ষ করে ‘যত সব বন্দী-শালায়/আগুন জ্বালা/আগুন জ্বালা, ফেল উপাড়ি’র মতো চরণ লেখা নজরুলের জীবন মোটেও মসৃণ ছিল না। লেখার জন্য জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ভারত সরকারের অনুমতি নিয়ে কবি নজরুলকে সপরিবার বাংলাদেশে আনা হয়। তাকে দেয়া হয় জাতীয় কবির মর্যাদা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে কবিকে সম্মানসূচক ডি–লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদকে ভূষিত করা হন জাতীয় কবি।