ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে—দেড় মাস পর জানলেন নববধূ আসলে পুরুষ!

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৬:৩১ অপরাহ্ণ   |   ৪৪ বার পঠিত
ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে—দেড় মাস পর জানলেন নববধূ আসলে পুরুষ!

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ফেসবুকে প্রেম, তারপর বিয়ে—সবই যেন ছিল এক নাটকীয় প্রতারণার অংশ। দেড় মাস সংসার করার পর স্বামী মাহমুদুল হাসান শান্ত জানতে পারেন, তার ‘স্ত্রী’ সামিয়া আসলে একজন পুরুষ!
 

ঘটনাটি জানাজানি হতেই শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘সামিয়া’ নামে পরিচিত ওই ব্যক্তির প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে ‘সামিয়া’ নামের একটি নারীর ছদ্মবেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিতি গড়ে তোলেন শাহিনুর।
 

এই ফেসবুক পরিচয়ের সূত্র ধরেই শান্তর সঙ্গে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে গত ৭ জুন তিনি হঠাৎ শান্তর বাড়িতে চলে আসেন। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ও পরিবারের সম্মতিতে মৌলভি ডেকে বিয়েও সম্পন্ন হয়।
 

বিয়ের পর থেকেই ‘সামিয়া’ শান্তর পরিবারে নববধূর মতোই বসবাস করতে থাকেন। দেড় মাসেও কেউ তার আসল পরিচয় বুঝতে পারেননি। তবে সম্প্রতি তার কিছু অস্বাভাবিক আচরণে পরিবারের সন্দেহ বাড়ে। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে স্পষ্ট হয়—‘সামিয়া’ আদতে একজন পুরুষ।
 

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। মুহূর্তেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
 

গণমাধ্যমকে শান্ত বলেন, "ফেসবুকের মাধ্যমে সামিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, এরপর প্রেম। হঠাৎ সে বাড়িতে চলে এলে পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে হয়। তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তার আচরণ ছিল রহস্যজনক। কাছে যেতে চাইলে বলত, অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছেন।"
 

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, "একজন পুরুষ আমাদের ঘরে বউ সেজে ছিল, আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। অভিনয় করে সে আমাদের মন জয় করেছিল।"
 

ঘটনার পর শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে শাহিনুরকে তার পরিবারে ফেরত পাঠানো হয়।
 

এ বিষয়ে শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া বলেন, "শান্তর সঙ্গে যা করেছি, তা অবশ্যই ভুল। তবে আমার হরমোনজনিত সমস্যা আছে, তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতেই স্বস্তি পাই।"