রাজশাহীর তানোরে গভীর গর্তে পড়ে আটকে থাকা শিশু সাজিদকে ঘটনাপ্রবাহের ২২ ঘণ্টা পেরিয়েও উদ্ধার করা যায়নি। বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের ধান–খড়ের মাঠে খেলতে গিয়ে মাত্র আট ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি গভীর গর্তে পড়ে যায় তিন বছরের সাজিদ।
শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের সদস্যরা রাতভর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। প্রথমে তানোর উপজেলায় কোনো এক্সকাভেটর পাওয়া না যাওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। অবশেষে রাত ৮টার দিকে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে দুটি ছোট এক্সকাভেটর এনে মাটি খননের কাজ শুরু হয়। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সকাভেটর পৌঁছালে তৎপরতা আরও জোরদার হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জরুরি মুহূর্তে বড় এক্সকাভেটর পাওয়া গেলে অনেক আগেই উদ্ধারকাজ এগিয়ে যেত। তারা জানান, শিশুটি দুপুরে পড়ে গেলেও রাত পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ে।
তানোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর রউফ বলেন, “প্রথমে তানোর উপজেলায় খোঁজ করেও এক্সকাভেটর পাওয়া যায়নি। পরে মোহনপুর থেকে দুটি এক্সকাভেটর এনে কাজ শুরু করি। এখন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন দিয়ে দ্রুত মাটি খনন চলছে। আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার সম্ভব হবে।”
আজ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিব শংকর বসাক জানান, “শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসক দলও প্রস্তুত রয়েছে।”
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আর পুরো এলাকা জুড়ে শিশুটিকে উদ্ধারের প্রত্যাশায় উৎকণ্ঠা বেড়েই চলছে।