পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কারাবন্দিদের মুক্তি, চাকরিচ্যুত সদস্যদের পুনর্বহাল এবং ক্ষতিপূরণসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিডিআর সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে তারা প্রথম দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিডিআর সদস্যদের মুখে শোনা যায় নানা স্লোগান—
🔹 “বিজিবি না বিডিআর, বিডিআর বিডিআর”
🔹 “দেশপ্রেমিক বিডিআর, সীমান্তে যাবে আরেকবার”
🔹 “বিডিআরের ঠিকানা, পিলখানা পিলখানা”
তাদের উত্থাপিত ছয় দফা দাবিসমূহ—
1️⃣ চাকরিচ্যুত সদস্যদের পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণ:
বিশেষ আদালত ও অধিনায়ক সামারি কোর্টের রায়ের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে পুনর্বহাল করতে হবে এবং তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
2️⃣ কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তি:
হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া বিডিআর সদস্যদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।
3️⃣ ন্যায়বিচার ও তদন্ত:
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের কার্যপরিধি সংশোধন করতে হবে এবং তদন্তের ভিত্তিতে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
4️⃣ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার:
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ ৭৪ জনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারাগারে মৃত্যুবরণ করা বিডিআর সদস্যদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ তদন্ত করতে হবে এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি আনতে হবে।
5️⃣ ‘বিডিআর’ নাম পুনর্বহাল:
ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবময় ইতিহাস বহনকারী ‘বিডিআর’ নাম পুনরায় চালু করতে হবে।
6️⃣ শহীদদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা:
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের স্মরণে একটি জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং শহীদ পরিবারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিডিআর সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।