চলতি ও গত অর্থবছরে জেলার হিলি স্থলবন্দরে আমদানি হয়েছে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৯ টন ভারতীয় পণ্য। এ থেকে দুই অর্থবছরে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৫৪১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৫ টাকা।
শনিবার বিষয়টি জানান- দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন।
ডেপুটি কমিশনার জানান, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে হিলিস্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৬ টন সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় পণ্য। আমদানি করা পণ্য থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছেন ২৩৭ কোটি ৩৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৬ টাকা। চলতি অর্থবছরে গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৮০৭ টন পণ্য।এসব আমদানিকৃত পণ্য থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছেন ৩০৪ কোটি ৬ লাখ ৩ হাজার ৯১৯ টাকা। চলতি বছর রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল,৩০০ কোটি ৫ লাখ টাকা। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে, ৪ কোটি ১ লাখ ৩ হাজার ৯১৯ টাকা ভারত থেকে এই বন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করছি আমদানি-রপ্তানি বাড়লে রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন- বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের আগ্রহ রয়েছে। আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সরকার অনুমোদিত ভারতীয় পণ্য আমদানি করতে যাতে তাদের কোন ধরনের অনিয়মতান্ত্রিক হয়রানি না হয়, সে বিষয়টি রাজস্ব বিভাগ কাস্টম নিশ্চিত করেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করতে কোন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হচ্ছেন না। গত ও চলতি অর্থবছরে এই স্থলবন্দরে যেসব ব্যক্তি পন্য আমদানিতে হয়রানির চেষ্টা করেছে এদেরকে আইনের আওতায় সোপর্দ করা হয়েছে। আগামীতেও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কাস্টম বিভাগ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন জানান, বর্তমান সরকারের আমলে হিলিস্থল বন্দর দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম করতে পারছে। আগামীতে এই অবস্থা চলমান থাকলে এই স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হবে। ফলে সরকার লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারবেন।