নাব্যতা সংকটে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রকাশকালঃ ০৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ ৫১২ বার পঠিত
নাব্যতা সংকটে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

 

ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আবারো ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে ফেরী কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)। এতে বিঘ্ন হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মাটিকাটা থেকে নৌবন্দর ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই  কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
 

 

গাড়ির চালক ও  স্থানীয়রা  জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহী যানসহ বিভিন্ন পরিবহন পারাপার করে আসছে বিআইডব্লিউটিএ। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে তা ঠিক। কিন্তু প্রতিদিন আমরা নদীতে যে ড্রেজিং দেখছি তা কি কোন কাজে আসছে না? নাকি তারা শুধু লোক দেখানো কাজ করছেন। 
 

 

তারা আরো জানান, দিনে শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টা চলে এই ড্রেজিং কাজ। বাকি সময় বন্ধ থাকে। এভাবে ড্রেজিং চললে সারাজীবনে ফেরী চলাচলে সমস্যা হবে।

 

শনিবার সকালে সরেজমিনে চিলমারী ঘাট থেকে রৌমারী পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, নৌ-রুটের রৌমারী ঘাটের উত্তর পশ্চিমে প্রায় দুই কিলোমিটারের বেশীর ভাগ স্থানে পানির গভীরতা ৬ থেকে ৯ ফিট। বর্তমানে যে রুটে ফেরী চলাচল করছে সেখানে একটি স্থানে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফিট জায়গায় ৫ ও ৬ ফিট গভীরতা থাকায় ফেরীর নিচের অংশ আটকে যায়। যার ফলে ফেরী চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।

 

বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রায় দুই হাজার ফিট এলাকায় ড্রেজিং শুরু করেছি। এরই মধ্যে প্রায় ৮শ ফিট কাজ হয়েছে বাকি অংশ ড্রেজিং হলে এই চ্যানেলে সহজে ফেরী চলাচল করতে পারবে। আর এখন যে স্থানে ফেরী আটকাচ্ছে আমরা চেষ্টা করছি ওখানে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গভীরতা ফিরিয়ে এনে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক করার।

 

এ বিষয়ে চিলমারী ফেরী সার্ভিস বিআইডব্লিউটিসি‘র ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, ব্রহ্মপুত্রের নব্যতা সৃষ্টি হওয়ায় ফেরীর নিচের অংশ আটকে যায়। যার ফলে জাহজের নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রেজিং না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক ভাবে ফেরী সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিং শেষে ফেরী চলাচল শুরু করা হবে।