নিউজ ডেস্ক-ঢাকা প্রেস
কুমিল্লার আলোচিত নানুয়ার দীঘির পাড়ের ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন বছর ধরে আইনি জটিলতায় থাকা সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন শিমুল (এশিয়ান টিভি) ও তার সহোদর ভাই ফয়সাল মুবিন পলাশ অবশেষে সম্পূর্ণ খালাস পেয়েছেন। তারা কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সন্তান।
২০২১ সালে নানুয়ার দীঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার সংবাদ প্রকাশের পর সিআইডি কুমিল্লা সাংবাদিক শিমুল ও পলাশকে আটক দেখিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর তারা জামিনে মুক্তি পান, তবে মামলাটি প্রায় তিন বছর ধরে চলতে থাকে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর গেজেট অনুযায়ী ধারা ৫০ (৪ ক) মোতাবেক দায়েরকৃত মামলার প্রসিডিংস ড্রপের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দুই সাংবাদিককে খালাস ঘোষণা করা হয়। এতে প্রায় পাঁচ বছরের ভোগান্তির অবসান ঘটে।
খালাসের পর সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন শিমুল বলেন,
“সত্য ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পথ ধরে চলার কারণে আমাকে ও আমার পরিবারকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। ১১ মাস অন্যায়ভাবে কারাবন্দি ছিলাম। অবশেষে ন্যায়বিচার পেলাম – এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
তার ভাই ফয়সাল মুবিন পলাশ বলেন,
“ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এই মামলা আমাদের জীবনে এক কঠিন সময় নিয়ে এসেছিল। আজ আদালতের রায়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা আমাদের পাশে ছিলেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবী এডভোকেট আরিফুর রহমান জানান,
“সরকার প্রণীত গেজেট অনুসারে আবেদন করার পর আদালত মামলার প্রসিডিংস ড্রপ করে দুই সাংবাদিককে সম্পূর্ণ খালাস দেন। এতে করে দীর্ঘদিনের হয়রানি ও মানসিক চাপের অবসান ঘটে।”
উল্লেখ্য, মামলার অপর আসামি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (গদা ইকবাল)-এর পক্ষে বিনা ফি-তে মামলা পরিচালনা করা হয় এবং তিনিও একইসঙ্গে খালাসপ্রাপ্ত হন।
✒ সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, ন্যায়বিচার ফিরে আসে — সাংবাদিকতার গৌরব অম্লান থাকুক।