সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“আমাদের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আপনাদের পূর্ণ সমর্থন প্রত্যাশা করছি।”
তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আগ্রহ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব আশ্বস্ত করে বলেন,
“বাংলাদেশের নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী রূপান্তর প্রক্রিয়ায় কমনওয়েলথ পূর্ণ সমর্থন দেবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, কমনওয়েলথের ৫৬টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে জি-৭ ও জি-২০-এর দেশও রয়েছে, যাদের হাতে বিপুল সম্পদ রয়েছে। এসব দেশ পরস্পরকে সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
মহাসচিব জানান, তিনি ইতোমধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন—যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন,
“বাংলাদেশের সম্ভাবনা আমাকে অত্যন্ত আশান্বিত করেছে।”
তিনি আরও জানান, আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে কমনওয়েলথ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বৈঠকে দুই নেতা তরুণদের ক্ষমতায়ন, উদ্যোক্তা বিকাশ, সামাজিক ব্যবসা, বেকারত্ব ও বৈষম্য হ্রাস, এবং কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে ‘তিন-শূন্য ভিশন’ বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেন।
সূত্র: বাসস