পেহেলগাম হামলার পর পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিল ভারত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:৪৪ অপরাহ্ণ   |   ৯৩ বার পঠিত
পেহেলগাম হামলার পর পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিল ভারত

অনলাইন ডেস্ক:-

 

ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জন পর্যটক হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর, গতকাল শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা বাহিনী পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তবে এখনো হামলার ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা গেছে, শোপিয়ান, কুলগাম ও পুলওয়ামা জেলায় অভিযান চালিয়ে এসব বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।
 

শোপিয়ানের চোপোটিপোরা গ্রামে লস্কর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত শাহিদ আহমেদ কুট্টের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়। কর্মকর্তাদের দাবি, তিনি গত তিন-চার বছর ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় জড়িত ছিলেন।
 

কুলগামের মাতালম এলাকায় সন্দেহভাজন জাহিদ আহমেদের বাড়ি, এবং পুলওয়ামার মুররান এলাকায় আহসান উল হকের বাড়ি বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করা হয়। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, আহসান ২০১৮ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্প্রতি কাশ্মীরে ফিরে আসেন।
 

এছাড়া, পুলওয়ামার কাচিপোরা এলাকার সন্দেহভাজন হারিস আহমেদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত এহসান আহমেদ শেখের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পেহেলগাম হামলার মূল সন্দেহভাজন আদিল হুসেন ঠোকর ও আসিফ শেখের বাড়ি ধ্বংস করে নিরাপত্তা বাহিনী। অনন্তনাগ পুলিশ হামলায় জড়িত সন্দেহে ঠোকরসহ আরও দুই ব্যক্তির স্কেচ প্রকাশ করেছে। ওই দুইজন, হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা, পাকিস্তানি নাগরিক। তাদের ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
 

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল বিকেলে জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামের বৈসরণ তৃণভূমিতে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায়। এতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন নেপালি নাগরিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কিত পর্যটকরা প্রাণে বাঁচার জন্য ছোটাছুটি শুরু করলেও খোলা প্রান্তরে লুকানোর কোনো সুযোগ ছিল না।
 

হামলার পর সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার। ইতোমধ্যে ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা দিয়েছেন, হামলার পেছনে থাকা দোষী ব্যক্তিদের এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।