ঢাকা প্রেস,নিজস্ব প্রতিবেদক:-
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে মেঘনা থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার নম্বর ১৭/২০২৪।
এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলেন- আ: বারেক (৬৫), মো. রবিউল্লাহ রবি (৩৫), মহসিন (৩৫), আলী হোসেন (৪০), হাসনাত (৩০), ইব্রাহিম (৩০), খলিল (২৮)। এরা নলচর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা। এছাড়াও অজ্ঞাত ঠিকানায় জুয়েল ও টিটু সহ আরও অনেককেই অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাতের আঁধারে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এই ড্রেজিংয়ের কারণে রামপ্রসাদ চর ও নলচর গ্রামের বাসিন্দারা নদীভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ১৫ (১) ধারায় মামলা রুজুকরা হয়।
নলচর গ্রামের একজন বাসিন্দা বলেন, “বালু উত্তোলনকারীরা একধরনের হায়না। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। গত ১৫ বছরে এই কাজের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. কাইয়ুম, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। সরকার পতনের পর থেকে কাইয়ূম পলাতক রয়েছে। তবে নতুন একটি চক্র একই কাজ করছে। আমাদের গ্রাম ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় আছি।”
মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিলের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার মুঠোফোনে একাধিক ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মেঘনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে মুসলিমা বলেন, “মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হবে। কাউকে এই কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।”
রামপ্রসাদের চর ও নলচর গ্রামের বাসিন্দারা অবৈধ বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।