কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৭শ’ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক ছটাকো

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ   |   ৬২৮ বার পঠিত
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৭শ’ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক ছটাকো

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-



 

যেখানে খোলা বাজারের চেয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে ধানের দাম কম। সেখানে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গেলে কৃষকের নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

 



যে কারণে প্রান্তিক কৃষকের অভিযোগের অজুহাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান ঝুলে গেছে। এ ক্ষেত্রে অটো রাইস মিলই এখন কৃষকদের একমাত্র ভরসা। তবে অটো রাইস মিল চালু থাকলেও সকাল হাসকিং চাতালের ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৪০ দিনে এক ছটাক ধানও সংগ্রহ হয়নি।

 



উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। যার ক্রয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

 



উপজেলার খাদ্যগুদামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সিদ্ধ চাল ৭৯৫ মেট্রিকটন ও আতব চাল ৮৪ মেট্রিকটন এবং ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৭৪৮ মেট্রিকটন।
 

সে অনুয়াযী উপজেলার ১৯টি চাতাল মালিকদের সাথে চুক্তি হয়। গত বছর ৫ ডিসেম্বর উপজেলায় ধান ও চাল ক্রয়ের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। তখন থেকে চাতাল মালিকরা চাল দিয়ে আসলে গুদামে পড়েনি একছাট ধান।
 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত খাদ্যগুদামে ৭শ’ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হলেও এই দিন পর্যন্ত এক ছটাক ধানও সংগ্রহ হয়নি। খাদ্য গুদামে নানান হয়রানী ও স্থানীয় বাজারগুলোতে দাম বেশি পাওয়ায় ধান দেয়নি কৃষক। সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে কেজি প্রতি চাল ৪৭ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকা। তার পরেও পাওয়া যাচ্ছে না ধান।
 

উপজেলা সদরের আশিক চালকল মালিক আলহাজ্ব আলতাফ আলী সরকার জানান, ১১ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। কষ্ট হলেও খাদ্যগুদামে সে চাল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজার গুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক ধান দিচ্ছে না।
 

উপজেলা চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মো. আলী হোসেন জানান, ধানের দাম বেশি থাকায় উপজেলায় অনেক চাতাল বন্ধ রাখছেন চাতাল মালিকরা। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি ধান ৩৭ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকারি রেট ৩৩ টাকা। সাধারণ কৃষক, খুচরা ব্যবসায়ী এবং চাতাল মালিকরা লোকসান করে তো খাদ্যগুদামে ধান দেবেন না।
 

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল জানান, ধান চাল সংগ্রহের জন্য অফিসে প্রতিদিন বসে থাকি। চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছি ধান সংগ্রহের জন্য। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭শ’ মেট্রিকটন চাল ক্রয় করা সম্ভব হলেও ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।
 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হামিদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ৭৯৫ মেট্রিকটন ও আতব চাল ৮৪ মেট্রিকটন এবং ধান ৭৪৮ মেট্রিকটন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকার কৃষকদের মাধ্যমে ধান নেওয়ার কথা বললেও কৃষকরা যথা নিয়মে খাদ্যগুদামে ধান দিতে পারেনি। তা ছাড়াও বাজারে ধানের দাম বেশি। সে কারণে চাল সংগ্রহ হলেও এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আমরা বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষে জানিয়েছি।