ঢাকা প্রেস
বিনোদন ডেস্ক:-
চন্দ্রবিন্দুর জনপ্রিয় গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদের খবর কলকাতার বিনোদন জগতে তোলপাড় ফেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকার পর এই দম্পতি আইনিভাবে বিচ্ছেদ নিয়েছেন।
মধুজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে শৈশব থেকেই একটি গভীর বন্ধুত্ব ছিল। অনিন্দ্য তাঁর ছবি আঁকা পছন্দ করতেন এবং মধুজা লেখালেখি করতে ভালোবাসতেন। তারা স্বপ্ন দেখতেন একসঙ্গে একটি শিশুদের বই তৈরি করবেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক চড়াই-উতর এসেছে।
মধুজা লিখেছেন, "ঘরে-বাইরে সমানতালে দীর্ঘ চৌদ্দ বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি।" তাই নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেতে তিনি মুম্বাই চলে যান। এই সময় তিনি কোভিড মহামারিও ভোগ করেছেন। এই সমস্ত ঘটনার মধ্য দিয়ে তিনি আবার নিজের মধ্যে ফিরে আসতে পেরেছেন। তিনি আবার ছবি আঁকতে এবং লেখালেখি করতে শুরু করেছেন।
মধুজা আরও লিখেছেন, "বিয়ে মানে ফুল, আলো—সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন।" তাই তিনি আইনিভাবে বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের বিচ্ছেদ সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব সবসময় থাকবে।
মধুজা একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি ছবি আঁকেন, লেখালেখি করেন এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলেও কাজ করেন।
অনিন্দ্য এবং মধুজার বিচ্ছেদ শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়, এটি একজন শিল্পীর নিজের জীবনকে নতুন করে গড়ার গল্পও। মধুজার এই সাহসী সিদ্ধান্ত অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে।
রবি ঠাকুরের একটি গানের লাইন উদ্ধৃত করে মধুজা লিখেছেন, "মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।" এই লাইনটি তাঁর মনের অনুভূতির একটি স্পষ্ট প্রকাশ।
এই বিচ্ছেদ যদিও দুঃখজনক, তবে মধুজা নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন এবং তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদী।