ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রামের ঘটনা কেবল একটি নিদর্শন। দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন টাঙানোর অসৎ প্রবণতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী এই প্রাণীদের উপর এমন নিষ্ঠুর আচরণ কেবল অমানবিকই নয়, বরং আইনতও অপরাধ।
কুড়িগ্রামে বেড়ে চলা অসচেতনতায় গাছের মৃত্যু
কবি শঙ্খ ঘোষের 'মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে' কবিতার মতো কুড়িগ্রামের চিত্রও আজ বেদনাদায়ক। সড়কের পাশের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে টাঙানো বিজ্ঞাপন, ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে ছেয়ে গেছে প্রকৃতির অকৃত্রিম বন্ধু গাছগুলো।
এই নির্মমতার ফলে কুড়িগ্রামের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। শহরের ত্রিমোহনী এলাকার শতাব্দীপ্রাচীন 'রেইনট্রি' গাছ, পৌর শহরের কলেজ মোড় থেকে সার্কিট হাউস রোড, তালতলাগামী রোড, কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়ক, শাপলা চত্বর থেকে ত্রিমোহনী বাজার সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একই চিত্র।
আইন থাকা সত্ত্বেও বেপরোয়া বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না
দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন থাকলেও গাছে পেরেক মারার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর লিফলেট বিতরণ করে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে, তবে তা যথেষ্ট নয়।
পরিবেশবিদ ও প্রশাসনের উদ্বেগ
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিবেশবিদ মীর্জা মো. নাসির উদ্দীন বলেছেন, "গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, প্রাণ বাঁচায়। কিন্তু আমরা তাদের প্রতি নিষ্ঠুর।" তিনি আইনের আওতায় আনার এবং গাছে পেরেক মারা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র মো. কাজীউল ইসলাম বলেছেন, অননুমোদিত বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হচ্ছে। তবে বাইরের জেলার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেছেন, "আইন প্রয়োগের চেয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।" তিনি কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বিজ্ঞাপন অপসারণের কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন।
আইনের কঠোর প্রয়োগ: গাছে পেরেক মারার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন ও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা জরুরি। সচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবেশবিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক ও স্থানীয়দের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা চালানো। বিকল্প বিজ্ঞাপন পদ্ধতি: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশবান্ধব বিকল্প বিজ্।