খুলনা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে
প্রকাশকালঃ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:১২ অপরাহ্ণ ২০১ বার পঠিত
খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দরের জেটি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুঁটিনাটি কাজও দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে এই রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
গতকাল শনিবার পরিদর্শনে এসে মোংলা-খুলনা রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে ট্রেন চলাচল শুরুর জন্য দ্রুততার সঙ্গে কাজ এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শেষ পর্যায়ের খুঁটিনাটি কাজ চলছে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ট্রানজিট সুবিধার আওতায় মোংলা বন্দর থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে পণ্য পরিবহন সাশ্রয়ী ও সহজ করতে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মোংলা-খুলনা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এরপর খুলনার ফুলতলা রেলস্টেশন থেকে মোংলা বন্দরের জেটি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু হয়। শুরুতে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেষ করতে পারেনি। এরপর বিভিন্ন কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়।
প্রথমে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৮০১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৬০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। তৃতীয় দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি।
সর্বশেষ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ৩০ জুন। এই সময়েও শেষ না হওয়ায় কাজের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস বাড়ানো হয়। এর মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেল সেতু নির্মাণ করে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মোস্তাক আহমেদ মিঠু ও এইচ এম দুলাল বলেন, বর্তমান সরকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। তেমনি নিরবচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে।
এতে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্য যেমন কম খরচে মোংলা বন্দর থেকে পরিবহন করা যাবে, তেমনি মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানিও করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়বে। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে।