ভারতের বদলে বিকল্প পর্যটনে বাংলাদেশিদের ঝোঁক

প্রকাশকালঃ ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:১০ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
ভারতের বদলে বিকল্প পর্যটনে বাংলাদেশিদের ঝোঁক

ঢাকা প্রেস নিউজ
 

ভারতের ভিসা সেবা দীর্ঘদিন ধরে সীমিত থাকায় বাংলাদেশের পর্যটকরা এখন বিকল্প গন্তব্যের দিকে ঝুঁকছেন। চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপের মতো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বর্তমানে তাদের পছন্দের শীর্ষে জায়গা করে নিচ্ছে।
 

পূর্বে সহজ যাতায়াত এবং সুলভ চিকিৎসার জন্য ভারত ছিল বাংলাদেশি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দ। তবে, জুলাই বিপ্লবের পর থেকে সাধারণ ভিসা বন্ধ থাকায় বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন গন্তব্য খুঁজছেন পর্যটকরা। অনেকেই মনে করছেন, ভারতে যেতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। বাংলাদেশেও ভ্রমণের অনেক স্থান রয়েছে এবং চাইলে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য দেশে যাওয়ার সুযোগও আছে।
 

বছরের শেষ এবং শুরুর দিকে সাধারণত চার থেকে পাঁচ মাস বাংলাদেশি পর্যটকরা দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করে থাকেন। এই সময়ে সিলেট, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন রুটে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রীদের চাপ বাড়ে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতে ভিসা পাওয়ার জটিলতায় অনেকের ভ্রমণ পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে। সংখ্যালঘু ইস্যু ও দিল্লি-ঢাকার মধ্যে টানাপোড়েনও এই পরিস্থিতির কারণ। এর ফলে, ভারতকে আর নিরাপদ গন্তব্য হিসেবে দেখছেন না অনেক বাংলাদেশি।
 

তাই চলতি পর্যটন মৌসুমে বাংলাদেশি পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায়। এই তথ্য জানিয়েছে ট্রাভেল ও ট্যুর এজেন্সিদের সংগঠন আটাব।
 

আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য নতুন জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়া চীনের গুয়াংজু, কুনমিং ও বেইজিংয়েও বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

এয়ারলাইন্সগুলোর মতে, ভারতের সাধারণ ভিসা বন্ধ থাকায় পর্যটকরা নতুন গন্তব্য খুঁজছেন। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, এই সময়টি এমনিতেই পর্যটন মৌসুম, তার ওপর জুলাই-আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতি পর্যটকদের মধ্যে ঘোরার প্রবণতা বাড়িয়েছে। ব্যাংকক ও কাঠমান্ডুতে ভ্রমণকারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
 

ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ভারত ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক, যার মধ্যে ২১.৫৫ শতাংশই ছিলেন বাংলাদেশি।