১৯৭১ সালের ২০ মার্চ: ষড়যন্ত্র ও সাহসের এক অধ্যায়
প্রকাশকালঃ
২০ মার্চ ২০২৪ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ ৩৩৬ বার পঠিত
১৯৭১ সালের ২০ মার্চ, ঢাকা সেনানিবাসে ষড়যন্ত্রের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল হামিদ খান, পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খান সহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের এক জরুরি বৈঠক। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা ব্যর্থ হলে 'অপারেশন সার্চলাইট' - গণহত্যার নীলনকশে ইয়াহিয়া খানের অনুমোদন।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় নিয়োগের ঘনঘটা। প্রতিদিন ৬ থেকে ১৭টি পিআইএ ফ্লাইটে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে করে আসছে মৃত্যুর কারিগর। অসহযোগ আন্দোলনের শুরুতে বাংলাদেশে এক ডিভিশন সেনাবাহিনী থাকলেও, ২০ মার্চ এর মধ্যে তা বেড়ে দুই ডিভিশনের বেশি। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সেনা ও অস্ত্র পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাহায্য চায়।
সকালে রমনা প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইয়াহিয়া খানের চতুর্থ দফার বৈঠক। দুই ঘণ্টার আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের জানান, কিছু অগ্রগতি হয়েছে। রাতে এক বিবৃতিতে তিনি ঘোষণা করেন, মুক্তি না আসা পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। অসহযোগ আন্দোলনের ১৯তম দিনেও ঢাকার বুকে বাঙালির দৃপ্ত পদচারণা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক নৌসেনাদের সমাবেশে মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করা হয়। একের পর এক শোভাযাত্রা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যায়। শেখ মুজিব ঘোষণা করেন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়কে কোনো শক্তিই রুখতে পারবে না। ইতিহাসের এই কলঙ্কিত অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় স্বাধীনতার মূল্য এবং বঙ্গবন্ধুর অদম্য সাহস ও দৃঢ়তার কথা।