দেশের অর্থনীতির ছয় মাসের পুনরুদ্ধারকে মিরাকল বললেন প্রেস সচিব

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৫২ অপরাহ্ণ   |   ৯০ বার পঠিত
দেশের অর্থনীতির ছয় মাসের পুনরুদ্ধারকে মিরাকল বললেন প্রেস সচিব

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

গত ছয় মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত পুনরুদ্ধারকে 'মিরাকল' বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এমন সংকটময় ছিল যে, যেকোনো মুহূর্তে সেটি ভেঙে পড়তে পারত।’
 

বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি টক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 

এনার্জি খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন.......
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এনার্জি খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অতীতে স্টেট স্পন্সরশিপের নামে এ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সরকার এখন বিদ্যুৎ খাতের স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছে। বড় বড় পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ব্যাপকভাবে কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ.....
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো জরুরি। এই পোর্টের কার্যকারিতা না বাড়লে বিনিয়োগ আসবে না। রি-এক্সপোর্ট বাড়াতে হলে চট্টগ্রামের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক মানের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সরকারের লক্ষ্য চট্টগ্রামের প্রতিটি বন্দরকে আধুনিকায়ন করা, যাতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।

 

বিনিয়োগ আকর্ষণে দক্ষ এনার্জি সিস্টেমের প্রয়োজন....
তিনি বলেন, এনার্জি সিস্টেম দক্ষ না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। অতীতে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাজস্ব ব্যবস্থাও সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার বাজেট ব্যবস্থাপনায় অদক্ষ ছিল। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, যা কম খরচে করা সম্ভব ছিল। এছাড়া রেললাইনের দুর্বল পরিকল্পনার কারণে অনেক রুটে কার্যকর ট্রেন চলাচল সম্ভব হয়নি, যা জনগণের টাকার অপচয়ের শামিল।’
 

প্রেস সচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক খাত পুনরুদ্ধার ও বিনিয়োগ আকর্ষণে শক্তিশালী নীতিমালা গ্রহণ করছে, যা ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করতে সহায়ক হবে।