সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৪:০৬ অপরাহ্ণ   |   ৯৫ বার পঠিত
সাবেক ডিসি, জজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকা প্রেস,কক্সবাজার প্রতিনিধি:-

 

কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তিনি নিজের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করেছেন। এই কাজে সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
 

কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
 

অন্য আসামীরা হলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল, এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদ।
 

সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
 

দুদক কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. সিরাজ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত গত বৃহস্পতিবার আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
 

এছাড়া, দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন গত ১ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোক-পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।
 

মামলাটি ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের সময় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে করা হয়। বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার ওই মামলার নথি জালিয়াতি করে রুহুল আমিনের নাম বাদ দেন।
 

কিছুদিন পর বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী সেই মামলায় জালিয়াতির অভিযোগে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদক ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
 

অভিযোগ অনুযায়ী, মামলার নথিতে বাদী কায়সারুল ইসলামের জাল স্বাক্ষরসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়, যা সিআইডির হস্তলিপি বিশারদের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।