পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে জিন-ভূতের মাধ্যমে চিকিৎসা ও ভাঙা প্রেম-সংসার জোড়া লাগানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে রেজাউল করিম (৫০) নামের এক ভুয়া কবিরাজকে আটক করেছে প্রশাসন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রেজাউল করিমকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। অভিযানে তার বাড়ি থেকে পাঁচটি মানুষের মাথার খুলি, ত্রিশূলসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
রেজাউল করিম জিন-ভূতের মাধ্যমে সর্বরোগের চিকিৎসা, ভাঙা প্রেম-সংসার জোড়া লাগানো, মনের মানুষ খুঁজে দেওয়া এবং নিঃসন্তান নারীদের সন্তান দানের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ, মুরগি, ছাগলসহ নানা সামগ্রী হাতিয়ে নিতেন। তার প্রতারণার শিকার হয়ে গ্রামীণ সহজ-সরল মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪১ ধারায় তাকে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ইউএনও নাহারুল ইসলাম জানান, রেজাউল করিম তার প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। দণ্ডাদেশের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও নাহারুল ইসলাম বলেন, "গ্রামের সাধারণ মানুষের সহজ-সরল মনোভাবের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রেজাউল করিম। আমরা সাধারণ মানুষকে এ ধরনের প্রতারণার বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই।"
এই অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসন সাধারণ মানুষের প্রতি প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে।