জুম হোম অফিসের দিন কমিয়ে আনছে

প্রকাশকালঃ ১০ আগu ২০২৩ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ ১৬৪ বার পঠিত
জুম হোম অফিসের দিন কমিয়ে আনছে

রোনা মহামারি চলাকালে পুরোদমে হোম অফিস (রিমোট ওয়ার্ক) চালু করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ভিডিও কনফারেন্স প্ল্যাটফর্ম জুম। এবার প্রতিষ্ঠানটি তাদের সব কর্মীকে সশরীর অফিসে হাজির হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছে। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করতে হবে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা বিশ্বাস করে, একটি ‘কাঠামোগত হাইব্রিড পদ্ধতি’ সবচেয়ে কার্যকর। আর অফিসের ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী কর্মীদের সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সশরীর কাজ করা উচিত।

কর্মক্ষেত্রে নমনীয় নীতি চালুর বিপক্ষে এটাই সবশেষ পদক্ষেপ। অনেক প্রতিষ্ঠানই হোম অফিসের দিন কমিয়ে এনেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অ্যামাজন ও ডিজনিও আছে। এ বিষয়ে করা জরিপ প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, এখনো কিছু কিছু কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করার দক্ষতা ধরে রেখেছেন।


স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অন্য গবেষকদের সমন্বয়ে করা এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জুমের সদর দপ্তরে জুলাইয়ে ১২ শতাংশ কর্মী পুরোপুরি রিমোট কাজ করেছিলেন। আর ২৯ শতাংশ কর্মী হাইব্রিড কাজ (সশরীর ও হোম অফিস) করেছিলেন।

চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের নথিভুক্ত রেকর্ডও একই রকম তথ্য দিয়েছে। স্ট্যানফোর্ডের গবেষক দলের আগের গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশের ভাষা ইংরেজি, সেসব দেশে হোম অফিস জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোয় তা পায়নি।

করোনা মহামারির আগে যুক্তরাষ্ট্রে হোম অফিস করার হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। জুম একপর্যায়ে ঘোষণা দিয়েছিল, তাদের কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য হোম অফিসে কাজ করতে সক্ষম হবেন।


প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানটি বলছে, হোম অফিস–সংক্রান্ত নতুন নীতি আগস্ট ও সেপ্টেম্বর থেকে চালু করা হবে। তবে দেশ অনুসারে এই নীতি পরিবর্তিত হতে পারে। এ ছাড়া স্থান ভেদে দক্ষ কর্মীদের নিয়োগপ্রক্রিয়াও চালিয়ে যাওয়া হবে।

গত জানুয়ারির শেষে জুম প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। এসব কর্মীর অর্ধেকের বেশি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যে বর্তমানে প্রায় ২০০ কর্মী কাজ করছেন। লন্ডনে সম্প্রতি একটি নতুন অফিসও চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২২ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ওই বছরের সেপ্টেম্বরে জুমে মাত্র ১ শতাংশ কর্মী নিয়মিত সশরীর অফিস করতেন। ৭৫ শতাংশ কর্মী হোম অফিস ও বাকি কর্মীদের জন্য হাইব্রিড কাজের ব্যবস্থা ছিল।