নাটোরের বড়াইগ্রামে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান অগ্রগতি

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৪:৩২ অপরাহ্ণ   |   ৮০ বার পঠিত
নাটোরের বড়াইগ্রামে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান অগ্রগতি

মো: সুরুজ আলী, নাটোর প্রতিনিধি:-


 

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে সুপেয় পানি সরবরাহ ও আধুনিক স্যানিটেশন সুবিধা সম্প্রসারণে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সেবা ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।
 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন, বনপাড়া ও বড়াইগ্রাম পৌরসভায় BMWSSP প্রকল্পের আওতায় সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, পৌর এলাকায় প্রধান ড্রেন নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য FSTP (Faecal Sludge Treatment Plant) স্থাপন এবং দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের জন্য গৃহস্থালি স্যানিটারি টয়লেট সরবরাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এসব উদ্যোগে এলাকায় স্যানিটেশন কভারেজ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

এছাড়া নিরাপদ পানির উৎস সংরক্ষণ, কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সংরক্ষণ প্রকল্প এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে এসব উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
 

সরকারের “সবার জন্য নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন” লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহযোগিতায় জনসচেতনতা কার্যক্রমও জোরদার করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাঠকর্মীরা নিয়মিতভাবে জনগণকে হাত ধোয়ার অভ্যাস, বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণ ও স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করছেন।
 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সৈকত হোসেন বলেন,
“বড়াইগ্রামে সুপেয় পানি ও উন্নত স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে নিরাপদ পানির আওতায় আনা এবং শতভাগ স্যানিটেশন কভারেজ অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

 

স্থানীয়দের মতে, এসব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে এলাকায় পানিবাহিত রোগের হার যেমন ডায়রিয়া ও জন্ডিস কমে এসেছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার প্রবণতাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।