সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে ২২ এপ্রিল। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জন নাবিক সেখান থেকে ওই জাহাজে করেই বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি দুজন বিমানে আসবেন বাংলাদেশে।
আজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাবিকেরা তাঁদের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি দুজন বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। এখনো তাঁরা চাইলে বাই এয়ারে আসতে পারেন। যদি তারা আমাদের সিদ্ধান্ত দেন। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন, তাঁরা ওই জাহাজে করে বাংলাদেশে ফিরবেন।
দীর্ঘ ৩৩ দিন জিম্মি থাকার পর গত শনিবার জাহাজটি মুক্তি পায়। এরপর সোমালিয়ার ডেরা থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি। মেরিন ট্রাফিক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে ২০ এপ্রিল রাত ১০টায়। কিন্তু জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২২ এপ্রিল জাহাজটি আরব আমিরাতে ভিড়বে। কারণ জাহাজটির গতি অনেক কম।
কর্তৃপক্ষ জানায়, জাহাজটি আরব আমিরাতে পৌঁছার পরপরই দুই জন বাই এয়ারে বাংলাদেশে আসবেন। বাকিরা জাহাজে করে বাংলাদেশে আসবেন প্রায় এক মাস পর।
গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করা হয়। এর ৩২ দিন পর, অর্থাৎ ৩৩ দিনের জিম্মিদশা থেকে গত শনিবার দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়।