হাইকোর্ট অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের ক্ষমতা পুনরায় সুপ্রিম কোর্টের হাতে হস্তান্তর করার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন। এছাড়া, রায়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৭২ সালের প্রাথমিক অবস্থায় ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এছাড়া অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, আর ইন্টারভেনর হিসেবে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম।
গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সাতজন আইনজীবী সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছিলেন। তারা হলেন মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. জহিরুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল ও জায়েদ বিন আমজাদ।
প্রাথমিক শুনানি শেষে ২৭ অক্টোবর ২০২৪ হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে। রুলে বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় কেন প্রতিষ্ঠা করা হবে না এবং সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের বিধিমালা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান। বিভিন্ন শুনানির পর আজ (২ সেপ্টেম্বর) এই রায় ঘোষণা করা হলো।