ভাবী হত্যায় মামলায় দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশকালঃ ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:২২ পূর্বাহ্ণ ৪৩৫ বার পঠিত
ভাবী হত্যায় মামলায় দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

 

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় হোসনে আরা নামের এক নারীকে হত্যা মামলায় তার দেবর মিজানুর রহমান লিটনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

 

বুধবার বিকালে কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্দুস সালাম আট বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নাজমুল হোসেন জানান।

 

দণ্ডিত মিজানুর রহমান লিটন (২৬) চিলমারীর পুটিমারী হাটিথানা মণ্ডলপাড়া এলাকার ইয়াকুব আলী মণ্ডলের ছেলে।

 

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর নাজমুল হোসেন জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না। সাজার পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

 

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৬ সালে ২ মে সকালে চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ব্যাঙমারার চরে বিজয় বাবু নামের একজনের জমিতে হোসনে আরার লাশ দেখতে পেয়ে গ্রাম পুলিশ দুলু মিয়া চিলমারী থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ব্যাপক অনুসন্ধান করে এ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী লিটনকে সনাক্ত করেন।

 

পরে জানা যায়, লিটনের তার বড় ভাই রতন মণ্ডলের স্ত্রী হোসনে আরার সঙ্গে সম্পর্ক এবং টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে তিনি তার ভাবিকে নৌকায় করে ব্যাঙমারা চরে নিয়ে গিয়ে গলাটিপে এবং ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে হত্যার আলামত নষ্ট করে লাশ ফেলে পালিয়ে যান।

 

তদন্ত শেষে পুলিশ লিটনের বিরুদ্ধে হত্যা এবং হত্যার আলামত নষ্ট করার অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।

 

রায়ে হত্যার পর আলামত নষ্ট করার অপরাধে আসামিকে বিচারক দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেন। অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নাজমুল জানান।